অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কক্সবাজারের টেকনাফে পাত্রী দেখতে গিয়ে অপহৃত হওয়া তিন বন্ধুর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বুধবার (২৪ মে) টেকনাফের হাবিবছড়া গহিন পাহাড় থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- ছৈয়দ হোসন ওরফে সোনালী ডাকাত (৩৫) ও এমরুল।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বেলা ১২টার দিকে র্যাব-১৫ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য জানান র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম।
তিনি জানান, তারা তিন বন্ধু মিলে টেকনাফে পাত্রী দেখতে গেলে গাড়ি থামিয়ে তাদের অপহরণ করা হয়। পরে তাদের পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। ভুক্তভোগী পরিবার বিষয়টি র্যাবকে অবগত করলে অভিযানে নামে র্যাব। র্যাব তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় দুইজনকে আটক করে। পরে তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী টেকনাফ দমদমিয়া এলাকার গহিন পাহাড় থেকে তিন বন্ধুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহগুলো অর্ধগলিত ছিল। মরদেহ নিশ্চিহ্ন করতে ডাকাত দল তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তিনি আরও জানান, মরদেহগুলো যেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে মানুষের সমাগম নেই। ডাকাত দলের লোকজন বারবার সিম পরিবর্তন করার কারণে তাদের শনাক্ত করতে একটু দেরি হয়েছে। আটককৃত দুইজন প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন, তারা এই কাজে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। বিত্তশালীদের টার্গেট করে এসব অপহরণ করতেন তারা। যারা টাকা দিতে ব্যর্থ হয় তাদেরকে মাটির মধ্যে পুঁতে রাখা হতো। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল টেকনাফে পাত্রী দেখতে যাওয়ার পথে ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ সওদাগর পাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইউছুপ, চৌফলদণ্ডী ইউনিয়নের রুবেল, কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া এলাকার ইমরান নামে তিন বন্ধু অপহৃত হন। পরে বুধবার (২৪ মে) দুপুরে র্যাব ও পুলিশের দুটি দল অভিযান চালিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
Leave a Reply